নয়া দিল্লি: বিপদ বাড়ল পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (Paytm Payments Bank)। আরবিআই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই দুঃসময় চলছে এই ফিনটেক স্টার্টআপের। এবার ইডির স্ক্য়ানারে চলে এল পেটিএমএ-র ব্যাঙ্কিং ইউনিট, বাড়ল পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞার পর, এবার তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রাথমিক স্তরে তদন্ত শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। সূত্রের খবর, ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট বা ফেমার আওতায় পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরিু করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই, আরবিআই-এর কাছ থেকে এই ব্যাঙ্কের কর্মকাণ্ড নিয়ে তাদের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি এবং ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট। আরবিআই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে পড়েছে পেটিএম-এর শেয়ারের দর। মাঝে একটু উর্ধ্বমুখী গতি দেখা গেলেও, বুধবার ফের ৯ শতাংশ পড়েছে পেটিএম-এর শেয়ারের দর। এর মধ্যে ইডির তদন্ত, নিঃসন্দেহে পেটিএম এবং তাদের মূল সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনের (One97 Communications)-এর উদ্বেগ আরও বাড়াল।
এর আগে পেটিএম জানিয়েছিল, তাদের ডিরেক্টর বা পেমেন্ট ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না। এদিনের পর, তা বলার আর উপায় রইল না। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আরবিআই-এর পক্ষ থেকেই এই মামলার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল ইডিকে। তারপরই, তদন্ত শুরু করেছে ইডি। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, ইডি এখনও কোনও কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়নি। শুধুমাত্র ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় তদন্ত শুরু করেছে। তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-র আওতায় কোনও মামলা এখনও দায়ের করা হয়নি। এই আইনে মামলা হলে, পেটিএম-এর নিজেদের রক্ষা করা কঠিন হতে পারে।
৩১ জানুয়ারি, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্তের আওতায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আরবিআই। আরবিআই জানিয়েছিল, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর সুদ প্রদান, ক্যাশব্যাক বা অর্থ ফেরত দেওয়া ছাড়া, গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট, প্রিপেইড পণ্য, ওয়ালেট, ফাস্টট্যাগস এবং এনসিএমসি কার্ডে কোনও টাকা জমা রাখা, ক্রেডিট লেনদেন বা টপ-আপ গ্রহণ করা যাবে না। উপরন্তু, ব্যাঙ্ককে ১৫ মার্চের মধ্যে সমস্ত মুলতুবি থাকা লেনদেন এবং নোডাল অ্যাকাউন্টগুলির নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Insurance and Investment Advisor at ICICI Prudential. Traveller, Businessman, Marketer.