Finance News

China: বাবার আয় বছরে ৭০০ কোটি টাকা, ২০ বছর ধরে জানতই না ছেলে

Published

Disclaimer! We are not SEBI licensed advisors; the information provided here is for educational purposes only. Please conduct your own research before making any investment decisions. Mutual Fund investments are subject to market risks, read all scheme related documents carefully.

Please Share With Your Friends

বেজিং: ২০ বছর বয়স হওয়ার আগে ছেলে জানতেনই না, তাঁর বাবা কোটি-কোটিপতি! চিনের হুনান স্পাইসি গ্লুটেন লাটিয়াও ব্র্যান্ড, ‘মালা প্রিন্সে’র প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারপার্সন ঝাং ইউডং। এই সংস্থার বছরে আয় প্রায় ৬০ কোটি ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় ৬৯২ কোটি টাকার বেশি)। অথচ, ছেলে ঝাং জিলং-এর বয়স ২০ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাঁর আসল আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিলেন ঝাং ইউডং। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছেন ইউডং। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর হইচই পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। সকলেরই প্রশ্ন, কেন ছেলেকে নিজের আসল আর্থিক অবস্থা জানাননি বাবা?

জিলং জানিয়েছেন, তাঁর বাবা যে এক বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মালিক, তা তিনি জানতেন। তবে, তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, সংস্থাটি চালু রাখতে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে তাঁদের পরিবার। শুধু তাই নয়, একেবারে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের মতো করেই তাঁকে বড় করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জিলং। তিনি জানিয়েছেন, চিনের পিংজিয়াং কাউন্টিতে একটি ছোট ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁরা। এমনকি, স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও তাঁর পরিবার কোনও প্রভাব খাটায়নি। নিজের দক্ষতায় তিনি একটি ভাল স্কুলে ভর্তি হতে পেরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর, ইউডং একটা স্থায়ী চাকরি পেয়েছিলেন। মাসে মাইনে ছিল প্রায় ৬,০০০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় ৭০,০০০ টাকার বেশি)। মাইনের টাকা জমিয়ে ধীরে ধীরে পারিবারিক ঋণ শোধ করতে চেয়েছিলেন।

তবে, এই সময়ই তাঁর বাবা ফাঁস করেছিলেন, গত ২০ বছর ধরে তিনি তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে জিলংকে মিথ্যা বলে এসেছেন। তাঁদের পরিবারের মাথায় কোনও ঋণের বোঝা নেই। তাঁরা আসলে অত্যন্ত ধনী এক পরিবার। এরপরই, জিলংকে নিয়ে তাঁর পরিবার, পিংজিয়াং ছোট ফ্ল্যাটটি থেকে এক নতুন তৈরি ভিলায় উঠে গিয়েছিলেন। যে ভিলার দাম ছিল ১ কোটি ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি টাকা)। এরপর, ঝাং জিলং তাঁর বাবার সংস্থার ই-কমার্স বিভাগে কাজ করা শুরু করেন। বর্তমানে, তিনি এই সংস্থাকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করার চেষ্টা করছেন।

READ  Mukesh Ambani: সকলে আনন্দ করছে, ছেলের প্রাক-বিবাহে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মুকেশ অম্বানি!

কেন তাঁর বাবা ২০ বছর ধরে মিথ্যা বলেছিলেন? জিলংয়ের দাবি, যাতে তিনি সাফল্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, তার জন্যই তাঁর বাবা এই পথের আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখনও অবশ্য ইউডংয়ের পরীক্ষা শেষ হয়নি। তাঁর বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে ভাল কাজ করে ছেলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে, তবেই, তিনি সংস্থার মালিকানা তুলে দেবেন ছেলের হাতে।

এই কাহিনি নেটিজেনদের মধ্যে সাড়া পেলে দিয়েছে। অনেকেই এই কাহিনি বিশ্বাস করতে চাননি। তাঁরা বলছেন, এটা একেবারে ‘রূপকথার গল্প।’ এটা বাস্তবে কখনও হতে পারে না। তবে, চিনের কিছু মানুষ মনে করছেন এই কাহিনি অবিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। কারণ ঝাং ইউডংয়ের এই সংস্থা দীর্ঘদিন ধরেই চিনে প্রতিষ্ঠিত সংস্থা হলেও, গত দু-এক বছর ধরেই বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেছে। সম্ভবত, ছেলে স্নাতক হওয়ার পর, বাবার আর পারিবারিক ব্যবসার আসল অবস্থা গোপন রাখার প্রয়োজন পড়েনি। আর তাই, এত বছর পর বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করেছে সংস্থাটি।


Please Share With Your Friends