নয়া দিল্লি: মন্দার করালে গ্রাসে যেখানে ভারডুবির পথে একের পর এক উন্নত দেশ, সেখানে ভারত রোজই করছে নতুন রেকর্ড। ইতিমধ্যেই সাম্প্রতিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির নিরিখে সবাইকে চমকে দিয়েছে ভারত। তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়ে বিশ্ব বাজারের আঙিনায়। সোজা কথায়, একদিকে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে লড়াই করছে, অন্যদিকে ভারত গড়ছে নতুন ইতিহাস। মাটি থেকে আকাশ, সর্বত্রই উড়ছে ভারতের বিজয় পতাকা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বপ্ন, ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা পাবে ভারত। কিন্তু কোন পথে? এ বিষয়েই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
নির্মলা বলছেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রয়োজন। তবে শীঘ্রই যে ভারত পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি হয়ে উঠবে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।
এভাবেই হবে স্বপ্নপূরণ
শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী কলেজে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচনে গিয়েছিলেন নির্মলা। সেখানেই তিনি বারবার ভারতীয় অর্থনীতির স্বনির্ভরতার পক্ষে সওয়াল করেন। দেশের অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির কথাও বারবার শোনা যায় তাঁর মুখে। তিনি বলছেন, ইতিমধ্যেই বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ভারত দশম থেকে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা তৃতীয় স্থান অর্জন করব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পড়ুয়াদের দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখারও আহ্বান জানান তিনি। তাঁর দাবি, যুব সমাজের অবদানের হাত ধরেই ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে চিনের অর্থনীতির তুলনা টানতেই খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্মলা। বলেন, এটা করা ঠিক নয়। খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, চিন বিভিন্ন কারণে উন্নতি করেছে, যা ভারতে সম্ভব নয়। চিনে মোটেও গণতন্ত্র নেই, তবে আমাদের নাগরিক স্বাধীনতা আছে, বাক স্বাধীনতা রয়েছে।
এদিকে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর বলছে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৭.৬ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১১.৬ শতাংশ এবং নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫ শতাংশ। যেখানে পুরো ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি অনুমান করা হয়েছে ১০.৭ শতাংশ এবং উৎপাদন খাতে ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।