নয়া দিল্লি: একজন কর্মীর ভবিষ্যৎ নিশ্চিন্ত করতেই জমা হয় পিএফ-এর টাকা। পিএফ হল এমন একটি অ্যাকাউন্ট যা থেকে একজন কর্মী অবসর গ্রহণের সময় একটি ভাল অঙ্কের টাকা পায়। ইপিএফও অ্যাকাউন্টের অধীনে, কর্মী এবং সংস্থা বা নিয়োগকর্তা উভয়েই সমান অবদান রাখে। সম পরিমান টাকা জমা হতে থাকে অ্যাকাউন্টে। প্রতি মাসে সেই টাকা জমা হয়। কর্মীর বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হলেও সংস্থার তরফ থেকে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা জমা পড়ছে কি না, তা অনেক সময় বুঝতে পারেন না কর্মীরা। তাই সংস্থা কত টাকা জমা করছে, আদৌ জমা দিচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ, পিএফ-এর টাকা একজন কর্মীর অধিকার।
সম্প্রতি বাইজু এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনে টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে অনেক দেরিতে সেই অর্থজমা দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের জেনে রাখা দরকার, নিয়োগকর্তা টাকা জমা না দিলে কী করবেন?
যদি দেখেন আপনার ইপিএফও অ্যাকাউন্টে সংস্থার তরফে কোনও অবদান নেই, তাহলে যোগাযোগ করা পারে ইপিএফও-তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়োগকর্তা বা নিয়োগকারী সংস্থা টাকা জমা দিচ্ছে না বলে তথ্য জানাতে হবে ইপিএফও-কে। লিখিত অভিযোগও দায়ের করা যেতে পারে পিএফ অফিসে।
অভিযোগ দায়ের করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কর্মীকে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে হবে। স্যালারি স্লিপ এবং ইপিএফ স্টেটমেন্ট দিতে হবে। যদি অভিযোগ সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে সংস্থা বা নিয়োগকর্তাকে বাকি পুরো টাকা জমা দিতে হবে।