নয়া দিল্লি: টাটা গ্রুপ বলতেই প্রথমেই যে নামটা মনে আসে, তা হল রতন টাটার। টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটা। তাঁর আনুমানিক সম্পত্তির পরিমাণ ৩৮০০ কোটি টাকারও বেশি। তবে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি শিল্পপতি নন, বরং উদ্যোগপতি হিসাবেই। এত বড় মাপের শিল্পপতি হওয়া সত্ত্বেও অতি সাধারণ জীবনযাপন মন কাড়ে সকলের। বহু মানুষেরই ‘আইডল’ রতন টাটা। তাঁর জীবন কাহিনীও কমবেশি সকলের জানা। কিন্তু রতন টাটার যে এক ছোট ভাই রয়েছে, তা কি জানেন? কী করেন সেই ভাই? কেনই বা প্রচারের আলোয় দেখা যায় না তাঁকে?
রতন টাটা বরাবরই প্রচারের আলোয় থাকলেও, তাঁর ছোট ভাই জিমি নভল টাটা কিন্তু প্রচারের আলো থেকে দূরেই থেকেছেন। তবে এর অর্থ এই নয় যে টাটা গ্রুপের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। টাটা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির বিপুল শেয়ার রয়েছে তাঁর নামে। এর মধ্য়ে টাটা মোটরস, টিসিএস, টাটা কেমিক্যালস, টাটা স্টিল, টাটা সন্স অন্তর্গত। এছাড়া স্যর রতন টাটা ট্রাস্টেরও অন্যতম ট্রাস্টি তিনি।
টাটা গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, ব্যবসায় তিনি বিশেষ আগ্রহ দেখান না। দাদার মতো তিনিও অতি সাধারণ জীবনযাপন করেন। নভল টাটা ও তাঁর প্রথম স্ত্রী সুনি কমিশরিয়টের দ্বিতীয় সন্তান জিমি।
২০২৩ সালে রতন টাটা ভাই জিমির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন ইন্সটাগ্রামে। ১৯৪৫ সালের ছবি সেটি। ছবির ক্যাপশনে রতন টাটা লিখেছিলেন, “এগুলি খুশির দিন ছিল। আমাদের মাঝে কিছু আসেনি তখনও। (১৯৪৫ সালের ছবি, আমার ভাই জিমির সঙ্গে)”।
একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রতন টাটার থেকেও আরও সাধারণ জীবনযাপন করেন জিমি টাটা। তাঁর কাছে মোবাইল ফোনও নেই। খুব বেশি বাড়ির বাইরে বের হতেও পছন্দ করেন না তিনি। বরং বই ও খবরের কাগজ পড়তেই ভালবাসেন।
একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বইয়ের কোলাবায় একটি নামকরা বহুতলের ষষ্ঠ তলায় থাকেন জিমি টাটা। তাঁর খুব কাছের বন্ধু ব্যবসায়ী হর্ষ গোয়েঙ্কা। তিনি ২০২২ সালে বলেছিলেন যে জিমি অতি সাধারণ একটি ২ কামরার অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। এক সময়ে অসাধারণ স্কোয়াস খেলতেন জিমি টাটা। হর্ষ গোয়েঙ্কাকে প্রায় প্রতি ম্যাচেই হারিয়ে দিতেন।