প্রায় ১৭৭ বছর আগে শুরু হয়েছিল ভারতীয় রেলের যাত্রা। তারপর নেটওয়ার্ক ক্রমেই দীর্ঘ হয়েছে। রুট বেড়েছে, ট্রেন বেড়েছে, বেড়েছে যাত্রীও। লোকাল থেকে শুরু করে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির ওপর ভরসা করেন বহু যাত্রী। দেশ জুড়ে রেল রুটের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৮০০০ কিলোমিটার। তবে অনেক যাত্রীই এখনও রেলের কিছু নিয়ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। যেমন ধরা যাক স্লিপার ট্রেনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে, লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে নিয়ম। বিশেষত দূরপাল্লার ট্রেনে চাপার আগে এই নিয়মগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
ট্রেনে যাত্রার করার সময়েই বদলাতে পারেন গন্তব্য
অনেক সময়েই এমন হয় যে, যেখানে যেতে চাইছেন সেই স্টেশন পর্যন্ত টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে তার আগের কোনও স্টেশন পর্যন্ত টিকিট কেটে নিতে পারেন। তারপর ট্রেনে উঠে টিটিই-র কাছে গিয়ে বলতে পারেন, আপনার গন্তব্য বদলে দিতে বা যাত্রাপথ বর্ধিত করে দিতে। অতিরিক্ত ভাড়া দিলে টিটিই আপনাকে ওই স্টেশনের টিকিট দেবে।
মিডল বার্থের নিয়ম
স্লিপার ট্রেনে তিন রকমের বার্থ থাকে, লোয়ার বার্থ, আপার বার্থ ও মিডল বার্থ। সাধারণত মিডল বার্থ ভাঁজ করা থাকে। শোয়ার আগে সেটিকে সোজা করে নিতে হয়, যাতে ওই বার্থে যাত্রীরা শুতে পারেন। কিন্তু মিডল বার্থ সোজা করা হলে নীচে থাকা যাত্রীর বসতে অসুবিধা হয়। তাই এই বার্থের জন্য একটি নিয়ম আছে। শোয়ার সময় ছাড়া রাতে ছাড়া অন্য সময় ওই বার্থ খোলা যায় না। রাতে শোয়ার সময় হল ১০ টা, আর সকালে ৬ টার মধ্য়ে উঠে আর ভাঁজ করে দিতে হবে ওই সিট।
ট্রেন যদি মিস করেন…
রাস্তায় যানজট বা অন্য কোনও কারণে ট্রেন মিস হয়ে যেতেই পারে। অনেক যাত্রীর সঙ্গেই এমনটা হয়। সে ক্ষেত্রে মাথায় হাত পড়ে যাত্রীদের। কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না তাঁরা। কিন্তু রেল সে ক্ষেত্রে যাত্রীকে আর একটা সুযোগ, যা অনেকেরই জানা নেই। এ ক্ষেত্রে যাত্রী ট্রেন মিস করার পরও তাঁর টিকিট অন্য কাউকে দেওয়া যায় না। অন্তত ২ টি স্টেশন পর্যন্ত টিকিট কাউকে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ চাইলে পরের বা তার পরের স্টেশন থেকে উঠতে পারেন যাত্রীরা।
Insurance and Investment Advisor at ICICI Prudential. Traveller, Businessman, Marketer.