Finance News

Tata Market Cap: কোথায় অম্বানী-আদানি? ৩০ লক্ষ কোটির মার্কেট ক্যাপ ছুঁয়ে রেকর্ড টাটার

Updated

Disclaimer! We are not SEBI licensed advisors; the information provided here is for educational purposes only. Please conduct your own research before making any investment decisions. Mutual Fund investments are subject to market risks, read all scheme related documents carefully.

Please Share With Your Friends

মুম্বই: একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে টাটা গোষ্ঠী এবং তার আওতাধীন সংস্থাগুলি। চলতি সপ্তাহে টাটা মোটরস এবং টিসিএস-এর শেয়ারের দর সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই টাটা গোষ্ঠীর মার্কেট ক্যাপ ৩০ লক্ষ কোটি টাকার মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এই কৃতিত্ব অর্জন করল। এই বিষয়ে টাটা পিছনে ফেলে দিল মুকেশ অম্বানীর রিলায়েন্স এবং গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠীকেও। ৬ ফেব্রুয়ারি টাটা গোষ্ঠীর সম্মিলিত বাজার মূলধন ৩০ লক্ষ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। মার্কেট-ক্যাপ লিডারবোর্ডে রিলায়েন্স গোষ্ঠী রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তাদের মার্কেট ক্যাপ বর্তমানে ২১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা আদানি গোষ্ঠীর সম্মিলিত বাজার মূল্য, ১৫.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা।

টাটা গোষ্ঠীর এই ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করার পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা রয়েছে চলতি বছরে টিসিএস, টাটা মোটরস, টাটা পাওয়ার এবং ইন্ডিয়ান হোটেলের স্টক মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। গোষ্ঠীর বাজার মূল্যের অর্ধেকেরও বেশি এসেছে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস থেকেই। এই সংস্থার মার্কেট ক্যাপ প্রথমবারের মতো ১৫ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে ইউরোপ অ্যাসিস্ট্যান্সের আইটি অপারেটিং মডেলকে রূপান্তর করার জন্য, সংস্থাটির সঙ্গে টিসিএস-এর চুক্তি তাদের এই ধূমকেতুর গতিতে উত্থানের অন্যতম চালিকাশক্তি। টাটা মোটরস এবং টাইটান দুই সংস্থারই বাজার মূল্য বর্তমানে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। টাটা স্টিল, টাটা পাওয়ার, টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস এবং ট্রেন্ট – টাটা গোষ্ঠীর এই সংস্থাগুলির প্রতিটির মার্কেট ক্যাপ ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। নতুন তালিকাভুক্ত টাটা টেকনোলজিসের মার্কেট ক্যাপও প্রায় ৪৬,০০০ কোটি টাকা।

১৮৬৮ সালে ২১,০০০ টাকার মূলধন দিয়ে শুরু হয়েছিল টাটা গোষ্ঠীর পথ চলা। ২৯ বছরের জামসেদজি নুসেরওয়ানজি টাটা, একটি ট্রেডিং সংস্থা হিসাবে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর, ১৮৬৯ সালে, জামসেদজি বস্ত্রশিল্পে মনোযোগ দিয়েছিলেন। তবে, আমৃত্যু জামসেদজি তিনটি বিষয়ে নিমগ্ন ছিলেন – একটি লোহা ও ইস্পাত সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা এবং একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে ভারতীয়রা বিজ্ঞান শিক্ষা নিতে পারবে। জামসেদজি জীবিত থাকাকালীন এগুলির কিছুই করে যেতে পারেননি। কিন্তু, তাঁর বপন করা বীজ, পরবর্তীকালে জল-মাটি দিয়ে বড় বৃক্ষে পরিণত করেছেন তাঁর পরবর্তী প্রজন্মরা। কালক্রমে ভারতের অন্যতম সম্মানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে টাটা গোষ্ঠী।


Please Share With Your Friends