Finance News

Vantara: কেন রাজ্যের চিড়িয়াখানা থেকে পশুপাখি চলে যাচ্ছে রিলায়েন্সের ‘বনতারা’য়? মিলছে না উত্তর

Published

Disclaimer! We are not SEBI licensed advisors; the information provided here is for educational purposes only. Please conduct your own research before making any investment decisions. Mutual Fund investments are subject to market risks, read all scheme related documents carefully.

Please Share With Your Friends

জামনগর: প্রশ্ন উঠে গেল গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত অনন্ত অম্বানির বন্যপ্রাণ উদ্ধার ও আশ্রয় কেন্দ্র, ‘বনতারা’কে নিয়ে। ‘হিমাল সাউথএশিয়ান’ পোর্টালের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত দিয়ে ভারতে বহিরাগত বন্যপ্রাণীর পাচারের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। আর সেখানেই বলা হয়েছে, ভারতে পাচার হওয়া এই প্রাণীদের অধিকাংশের জায়গা হচ্ছে এখন রিলায়েন্সের এই কেন্দ্রে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে পাচার হওয়া এই ধরনের বেশ কয়েকটি চালান আইনরক্ষকদের হাতে ধরা পড়ে। সেগুলিকে বিভিন্ন রাজ্যের চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই প্রাণীগুলির অনেকগুলিকেই এরপর রিলায়েন্সের উদ্যোগে তৈরি বন্যপ্রাণ উদ্ধার ও আশ্রয় কেন্দ্র, বনতারায় পাঠানো হয়েছে, এমনটাই বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

জামনগর পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনেই অবস্থিত বনতারা। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এই বনতারাতেই বসেছিল অনন্ত অম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ উদযাপনের আসর। সেই সময় লাইমলাইটে এসেছিল বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও আশ্রয় কেন্দ্রটি। কিন্তু, এবার প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এই কেন্দ্র পাচার হওয়া প্রাণীদের দিয়ে দ্রুত বেড়ে উঠছে, তা নিয়ে।

‘হিমাল সাউথএশিয়ান’ পোর্টালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারত থেকেই মায়ানমার, চিন এবং ভিয়েতনামের মতো দেশে বিভিন্ন পশুপাখি পাচার করা হত। কিন্তু, এখন জল উল্টো দিকে বইছে। নতুন সরবরাহ শৃঙ্খলা এখন ক্যাঙ্গারু, বিভিন্ন সরীসৃপ, বিভিন্ন পাখি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন বানর পাচার করা হচ্ছে ভারতে। এই পাচার হওয়া পশুপাখিগুলি ধরা পড়লে, সেগুলিকে সাধারণত নিকটতম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়। এরপর কী হয় তাদের? কয়েকদিন আগে পর্যন্ত প্রাণীগুলি চিড়িয়াখানাতেই থাকত। তবে, সাম্প্রতিককালে একটা পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। উদ্ধার করা এই প্রাণীদের অধিকাংশকেই এখন চিড়িয়াখানা থেকে স্থানান্তর করা হচ্ছে জামনগরে, রিলায়েন্সের বনতারায়।

হিমালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত চার বছরে বনতারার বিশাল বৃদ্ধি ঘটেছে। বর্তমানে এই কেন্দ্র বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের একটি বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়েছে। গ্রিন জুওলজিক্যাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, বনতারায় ১৩৪ প্রজাতির পশু ও ৩,৮৮৯টি পাখি রয়েছে। ২,৭০০ জন কর্মী কাজ করেন এখানে। ২০২২-২৩ সালে, মোট ১৬০টি পশু লেনদেনের তালিকা প্রকাশ করেছে বনতারা। এই পশুপাখিগুলি আনা হয়েছে তামিলনাড়ু, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, মধ্য প্রদেশ, দিল্লি, অসম, উত্তর প্রদেশ, মণিপুর, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র এবং নাগাল্যান্ডের রাজ্য পরিচালিত চিড়িয়াখানা থেকে।

READ  LIC-র ডেথ ক্লেম কীভাবে পাবেন, জানুন বিস্তারিত

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চিড়িয়াখানা থেকে বনতারায় এই বন্যপ্রাণদের স্থানান্তরের বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে হিমালের প্রতিবেদনে। ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে জামনগরে ১০১টি চিতাবাঘ পাঠিয়েছিল গুজরাটের জুনাগড়ের সাক্করবাগ চিড়িয়াখানা। এই বিপুল সংখ্যক চিতাবাঘ কেন বনতারায় স্থানান্তর করা হল, তার কারণ নিয়ে কোনো স্পষ্টতা নেই বলে জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে।


Please Share With Your Friends