এ যেন ‘থালি’র শেয়ার মার্কেট! ভেজ-ননভেজ থালির দামেরও ওঠাপড়া। দামে আমিষ থালিকে অনেকটা পিছনে ফেলল নিরামিষ থালি। এই জানুয়ারি মাসেই ৫ শতাংশ দাম বেড়ে গিয়েছে ভেজথালির। যেখানে ননভেজ থালির দাম পড়ে গিয়েছে ১৩ শতাংশ। সম্প্রতি কৃসিল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিক্সের গবেষণায় ‘রাইস রোটি রেট’ শীর্ষক তথ্যে ধরা পড়েছে ডাল, ভাত, পেঁয়াজ, টমেটো দিয়ে ঘরে তৈরি করা যায় এমন সাধারণ খাবারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে জানুয়ারি মাসেই। সেখানে পোলট্রিজাত জিনিসের দাম আবার পড়তির দিকে।
কিন্তু কেন এমন ছবি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে খোলা বাজারে টমেটো আর পেঁয়াজের দাম যথাক্রমে ২০ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। ভেজথালির ১২ শতাংশ দাম ধরা থাকে ভাতে। আর ৯ শতাংশ দাম ধরা থাকে ডালে। সেই ভাতের দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। ডাল বেড়েছে ২১ শতাংশ। সেখানে ননভেজ থালির দাম এই জানুয়ারিতেই অনেকটা পড়েছে। গত বছরের তুলনায় যা ২৬ শতাংশ কম। তার একমাত্র কারণ পোলট্রিজাত দ্রব্যের উৎপাদন অনেক বেশি হওয়ার ফলে দাম কমে যাওয়া।
যদিও মাসের হিসাব করলে ভেজ থালি ও ননভেজ থালির দাম কমেছে যথাক্রমে ৬ ও ৮ শতাংশ হারে। তার পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, টমেটো ও পেঁয়াজের দাম যথাক্রমে কয়েক মাসে ১৬ শতাংশ ও ২৬ শতাংশ হারে পড়েছে বলেই থালির দামে এমন হেরফের। মূলত পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টমেটোর রফতানিতে প্রতিবন্ধকতার জন্য দামে এমন প্রভাব পড়েছে। ননভেজ থালিতে দেখা যাচ্ছে গত কয়েক মাসে ৮-১০ শতাংশ হারে দাম পড়েছে। পোলট্রিজাত সামগ্রীর দাম পড়ে যাওয়াই যার মূল কারণ। একটি ননভেজ থালির ৫০ শতাংশ দাম নির্ভর করে ডিম বা মুরগির মতো পোলট্রিজাত সামগ্রীর উপর। মোটের উপর এই রিপোর্ট বলছে, প্রথম বছরের প্রথম মাসে নিরামিষভোজীদের পকেটে বেশ ভালই চাপ পড়েছে।
Insurance and Investment Advisor at ICICI Prudential. Traveller, Businessman, Marketer.