নয়া দিল্লি: যোগাযোগ বা মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে সকলেইব ব্যবহার করেন হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বজুড়ে বহুল প্রচলিত এই অ্যাপ্লিকেশন। ভারতেও হোয়াটসঅ্যাপের কয়েকশো কোটি গ্রাহক রয়েছে। দিনরাত এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন, তবে জানেন কি যে সামান্য ভুল করলেও, চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট? অজান্তেই এমন কিছু ভুল করে বসেন গ্রাহক বা ব্যবহারকারীরা, যা হোয়াটসঅ্যাপের নীতি লঙ্ঘন করে, এর জেরে তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যায়।
এই ভুলগুলি করবেন না কখনও-
১. আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপ চালানোর জন্য তৃতীয় পক্ষের বা থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলে কোম্পানি আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। জিবি হোয়াটসঅ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ প্লাস এবং হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টার মতো অ্যাপে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ।
২. অন্য কারোর নম্বরের তথ্য দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হলে, কোম্পানি ব্যবস্থা নিতে পারে। এই ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হলে, তা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। অন্য কারোর তথ্য দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৩. আপনি যদি ক্রমাগত কোনো অজানা ব্যক্তিকে বার্তা পাঠান, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টও ব্যান হয়ে যেতে পারে। আপনার পরিচিতি তালিকায় নেই এমন একটি নম্বরে বারবার মেসেজ পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপের নীতি বিরুদ্ধ। তাই এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. যদি অনেক লোক আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রিপোর্ট বা ব্লক করে থাকে, তাহলে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট বিপদে। হোয়াটসঅ্যাপ এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলিকে জাল এবং স্প্যাম বার্তা ছড়ানো হিসাবে বিবেচনা করে৷ এর কারণে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ব্লক হয়ে যেতে পারে।
৫. আপনি যদি আপনার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাউকে নিষিদ্ধ, অশ্লীল বিষয়বস্তু বা হুমকিমূলক বার্তা পাঠান, তবে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হতে পারে। কোম্পানির নিয়মের বিরুদ্ধে কোনও কাজ করলেও আপনার নম্বর ব্যান হয়ে যেতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান হলে কী করবেন?
আপনি যদি মনে করেন যে হোয়াটসঅ্যাপ আপনার অ্যাকাউন্টটি ভুল কারণে বন্ধ বা ব্যান করেছে, তাহলে আপনি এটি ফের চালু করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। এর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে যান এবং রিকোয়েস্ট এ রিভিউ অপশনে ক্লিক করুন। হোয়াটসঅ্যাপ আপনার সেই রিকোয়েস্ট পরীক্ষা করবে এবং সেই অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।