নয়া দিল্লি: দেখতে দেখতেই মার্চ মাসের অর্ধেক দিন কেটে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের এটাই শেষ মাস। টার্গেট পূরণ করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ছুটছেন কর্মীরা। মার্চ মাসের শেষেই গোটা অর্থবর্ষের পারফরম্যান্সের বিচার করা হবে। আর সেই অনুযায়ীই বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থার ম্যানেজমেন্ট। আগামী অর্থবর্ষের জন্য অধিকাংশ সংস্থাই যেখানে মন্দার কারণ দর্শিয়ে বেতন বৃদ্ধি থেকে গা বাঁচাতে চাইছে, সেখানেই উল্টো পথে হাঁটতে চলেছে টাটা। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের কর্মীদের দারুণ বেতন বৃদ্ধি হতে চলেছে।
কত বেতন বাড়বে টিসিএস কর্মীদের?
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার টিসিএস কর্মীদের গড়ে ৯ থেকে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। যে সকল কর্মীরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়েছেন, তাদের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ অবধি বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। তাদেরই বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও হার সবথেকে বেশি। তবে বাকি কর্মীদেরও বেতন বাড়বে। অফসাইট কর্মীদের গড়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। অনসাইট কর্মীদের ২ থেকে ৪ শতাংশ বেতন বাড়তে পারে। আগামী অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ১ এপ্রিল থেকেই বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হতে পারে।
প্রোমোশন কি হবে?
বেতন বৃদ্ধি হলেও, এবার পদোন্নতি নিয়ে সচেতন সমস্ত সংস্থাই। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে এবার প্রোমোশন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। হলেও তা খুব সামান্য হবে। টিসিএস-ও তার ব্রাত্য নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, টিসিএসের কর্মীদের মধ্যে অনেক বিচার-বিবেচনা করেই প্রোমোশন দেওয়া হবে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রভাব পড়বে বেতনে-
করোনাকালে প্রায় সমস্ত কর্মীদেরই বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দিয়েছিল টিসিএস। কোভিডকাল পেরিয়েও ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু ছিল। তবে গত বছরের শেষভাগ থেকেই কর্মীদের অফিসে ফেরাতে শুরু করে টিসিএস। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মীদের অফিসে ফেরাতে বড় পদক্ষেপ করে সংস্থা। বেতন বৃদ্ধি ও ভ্যারিয়েবল পে-র সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় অফিসে আসার দিনের হিসাব। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, অফিসে না এলে প্রভাব পড়তে পারে বেতন বৃদ্ধিতে। এমনকী, টিম লিডার ও ম্য়ানেজারদেরও অফিসে আসার ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়।