নয়া দিল্লি: স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে বড় ঘোষণা। আমূল পরিবর্তন হল স্বাস্থ্যবিমার নীতিতে। এবার থেকে স্বাস্থ্যবিমা করানোর ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা থাকল না। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, তারাও বিমা করাতে পারবেন। একই সঙ্গে বিমায় আর্থিক কভারেজ পাওয়ার নিয়মেও পরিবর্তন করা হল। এবার থেকে স্বাস্থ্যবিমায় কী কী সুবিধা পাবেন, এক নজরে দেখে নিন-
বয়সের বাধা রইল না আর-
এবার ৬৫ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স, তারাও স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিমা করাতে অস্বীকার করতে পারবে না বিমাকারী সংস্থা।
মোরাটরিয়াম পিরিয়ডের মেয়াদ কমল-
স্বাস্থ্যবিমার অধীনে মোরাটরিয়াম পিরিয়ড বা বিমার কভারেজ পাওয়ার জন্য অপেক্ষার সময় আট বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করা হল। সহজ কথায় এর সুবিধা বোঝাতে গেলে, যদি কোনও ব্যক্তি স্বাস্থ্য বিমা করান এবং একটানা ৬০ মাস বিমার কভারেজ দেন, তবে কোনও ক্লেইম বা পলিসি খারিজ করতে পারবে না ইন্সুরেন্স সংস্থা। টানা এই ৬০ মাসের কভারেজ দেওয়ার সময়কাল বা পিরিয়ডকেই মোরাটরিয়াম পিরিয়ড বলে।
স্বাস্থ্যবিমায় আপনি পাঁচ বছর প্রিমিয়াম দিলেই এবার থেকে কভারেজ পাবেন। সেক্ষেত্রে কোনও কারণ দেখিয়েই বিমা সংস্থা আপনার আবেদন খারিজ করতে পারবে না। উদাহরণ হিসাবে বলতে গেলে, যদি বিমা করানোর সময় আপনি মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ বা হাঁপানির মতো রোগের কথা যদি উল্লেখ না করেন, তারপরও বিমা সংস্থা আপনার ক্লেম খারিজ করে দিতে পারবে না। আগে নন-ডিসক্লোজার কারণ দেখিয়ে বিমা সংস্থা আপনার আবেদন এবং বিমাও খারিজ করে দিতে পারত।
কমল ওয়েটিং পিরিয়ড-
এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য আগে ৮ বছর অপেক্ষা করতে হত। ১ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়মে এবার ৫ বছর মাত্র অপেক্ষা করতে হবে। আগে থেকেই শরীরে কোনও রোগের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্যবিমার অধীনে পাওয়ার জন্য ৪ বছর অপেক্ষা করতে হত। এবার সেই সময়ও কমিয়ে তিন বছর করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল, অনেক বিমা সংস্থা আগেই তিন বছরের কম ওয়েটিং পিরিয়ডের শর্ত রাখত।