Finance News

১০০ টাকার পেট্রোল ভুলে যান, ৪ টাকা প্রতি কিমিতেই ছুটবে গাড়ি, বড় পরিকল্পনা অম্বানীর

Published

Disclaimer! We are not SEBI licensed advisors; the information provided here is for educational purposes only. Please conduct your own research before making any investment decisions. Mutual Fund investments are subject to market risks, read all scheme related documents carefully.

Please Share With Your Friends

নয়া দিল্লি: যাতায়াতের সুবিধার জন্যই মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তরা কেনেন গাড়ি-বাইক। উচ্চবিত্তের কোনও সমস্যা না হলেও, গাড়ি-বাইকের জ্বালানির খরচ জোগাতেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় মধ্যবিত্তকে। পেট্রোল হোক বা ডিজেল, লিটার প্রতি দাম ১০০ টাকার আশেপাশেই। তবে ওই দিন আর বেশি দূরে নয়, যেখানে গাড়ির জ্বালানির পিছনে খরচ হবে ৪ টাকা। এই স্বপ্নকেই সত্যি করতে চলেছেন মুকেশ অম্বানী।

শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বিশ্বের এক নামকরা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতেই তৈরি করতে চলেছেন গ্রিন হাইড্রোজেন ও গ্রিন অ্যামোনিয়া।  লারসেন অ্যান্ড টুব্রো নামক এই সংস্থা ভারতে আনুমানিক ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছেন।

গুজরাটের দীনদয়াল পোর্ট অথরিটিতে (কান্দলা পোর্ট) বিনিয়োগ করতে চলেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। গ্রিন হাইড্রোজেন এবং গ্রিন অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চলেছে৷ লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এল এন্ড টি), গ্রিনকো গ্রুপ এবং ওয়েলসপন নিউ এনার্জির মতো সংস্থাগুলির সহযোগিতায় এই প্ল্যান্টগুলি স্থাপন করা হবে৷

জানা গিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরেই এই বিদেশি সংস্থাগুলি দীনদয়াল বন্দরের কাছে জমি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছিল। চারটি কোম্পানি মিলে ১৪টি প্লট কেনার পরিকল্পনা করেছিল, যার একেকটি প্লট প্রায় ৩০০ একর। এভাবে মোট প্রায় ৪০০০ একরের জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা।

সূত্রের খবর, দীনদয়াল বন্দর কর্তৃপক্ষ চারটি কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি প্লটে বছরে ১০ লাখ টন গ্রিন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করা সম্ভব। এই ১৪টি প্লটের মধ্যে ৬টি প্লট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে, ৫টি এল এন্ড টি-কে, ২টি গ্রিনকো গ্রুপকে এবং ১টি ওয়েলসপন নিউ এনার্জিকে দেওয়া হয়েছে।

গ্রিন হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়া উৎপাদনের লক্ষ্য-

কান্দলা বন্দরের কাছে এই জমিতে ৭০ লাখ টন গ্রিন অ্যামোনিয়া এবং ১৪ লাখ টন  গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এই বন্দরটি কচ্ছ উপসাগরে অবস্থিত, যার কারণে এখান থেকে রফতানি করাও সহজ হবে। গ্রিন হাইড্রোজেন ইলেক্ট্রোলাইজিং জল দ্বারা উত্পাদিত হয়। এর জন্য পুনর্নবিকরণ শক্তি ব্যবহার করা হয়, তাই এর থেকে কার্বন নিঃসরণ হয় না। এটি ভারত সরকারের ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের’ অংশ।

READ  Google Employee: ‘৩০০ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হবে…’, ‘অফার’ শুনে চমকে গেলেন কর্মীও

মাত্র ৪ টাকায় গাড়িটি চলবে এক কিলোমিটার-

হাইড্রোজেনকেই ভবিষ্যৎ জ্বালানি হিসেবে দেখা হয়। হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে চলা গাড়িগুলি জ্বালানী ব্যবহার করে, যা হাইড্রোজেন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। অক্সিজেনের সঙ্গে হাইড্রোজেন মিশে ধোঁয়ার পরিবর্তে জলের স্প্রে বের হয়। এতে দূষণ হয় না। বর্তমানে যেখানে পেট্রোল বা ডিজেলে গাড়ি চালাতে গড়ে খরচ প্রতি কিলোমিটারে ৮ থেকে ১০ টাকা পড়ে, সেখানেই গ্রিন হাইড্রোজেনের দাম প্রতি কিলোমিটারে ৪ থেকে ৫ টাকা।


Please Share With Your Friends