নয়া দিল্লি: দেশের দরিদ্র মানুষ কাজ করে যাতে শোষিত বা বঞ্চিত না হয়, সেজন্য দেশে ‘ন্যূনতম মজুরি’ চালু রয়েছে। যার ভিত্তিতে MNREGA প্রকল্পের অধীনে কৃষি শ্রমিক থেকে মজদুরদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। মূলত, দেশের দরিদ্র মানুষদের আয়ের দিশা দেখাতে চালু হয়েছিল কেন্দ্রের MNREGA প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের অধীনে ১০০ দিনের কাজ পান জবকার্ড হোল্ডাররা। তবে এবার ‘ন্যূনতম মজুরি’র হিসাব বদলাতে চলেছে। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদেরও দৈনিক মজুরির বদল ঘটতে পারে।
জানা গিয়েছে, দেশে ন্যূনতম মজুরির পরিবর্তে সরকার জনগণের জন্য জীবনযাপনের মজুরির ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। এব্যাপারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহায়তাও চেয়েছে কেন্দ্র। যাতে কারিগরিভাবে কীভাবে গোটা বিষয়টি বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে সরকার সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারে। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে ঠিক কী পরিবর্তন হতে পারে জানুন
এভাবেই পাল্টে যাবে ন্যূনতম মজুরির হিসাব
বর্তমান ব্যবস্থায় শ্রমের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে মজুরি নির্ধারণ করা হয়। সরকার যদি নতুন ব্যবস্থা চালু করে তাহলে একজন ব্যক্তির বেতন হবে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে ব্যয়ের উপর। প্রতিটি ক্ষেত্রে কর্মরত লোকদের মজুরি নির্ধারণ করা হবে সেখানকার ব্যয় অনুযায়ী।
বর্তমানে, দেশে সর্বনিম্ন দৈনিক মজুরি ১৭৬ টাকা। ২০১৭ সাল থেকে এতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এতে দেশের সম্পদ সঠিকভাবে বণ্টন হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
নতুন ব্যবস্থা কি আরও বেশি উপকারী হবে?
দেশে নতুন ব্যবস্থা চালু হলে জনগণ আগের থেকে বেশি মজুরি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে ভারতে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ দৈনিক মজুরিতে জীবিকা নির্বাহ করে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক। ফলে যে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা মজুরি সংক্রান্ত নতুন ব্যবস্থা থেকে বেশি সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।