Finance News

Salary negotiation trick: এই কৌশল নিলে, বাড়বেই বাড়বে আপনার মাইনে

Published

Disclaimer! We are not SEBI licensed advisors; the information provided here is for educational purposes only. Please conduct your own research before making any investment decisions. Mutual Fund investments are subject to market risks, read all scheme related documents carefully.

Please Share With Your Friends

নিউ ইয়র্ক: মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে দিতে ক্লান্ত চাকুরিজীবীরা। বাঁধা মাইনের চাকরিতে, কোনও মাসে দুম করে হাতে বেশি টাকা আসার সম্ভাবনা নেই। এই অবস্থায় বর্তমানে গোটা বিশ্ব জুড়েই চাকুরিজীবিদের মধ্যে পুরোনো চাকরি ছেড়ে নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রবণকতা দেখা যাচ্ছে। ভারতও তার নয়া চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় বেতন বৃদ্ধি পাবে, অনেকেই এই ভাবনা থেকেই চাকরি বদলাচ্ছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নয়া চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময়ও, তাদের বেতন খুব একটা বাড়ছে না। নিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময়, মনের মতো করে বেতন বাড়িয়ে নিতে পারছেন না কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে জানা গেল এমন এক কৌশল, যাতে নয়া চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নিশ্চিভাবে অনেকটা বাড়বে বেতন।

আমরা না, এই কৌশলের কথা জানিয়েছেন শ্যানেল হাওয়েল। কে এই শ্যানেল হাওয়েল? বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগ ব্যঙ্ক ‘গোল্ডম্যান শ্যাক্স’ সংস্থায় নিয়োগকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। নিউইয়র্কের অফিসে, হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তিনি। বেতন বৃদ্ধির জন্য চাকরিপ্রার্থীদের তিনি কী কৌশল জানালেন? সিএনবিসি-র ‘মেক ইট’ অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, নিয়োগকারীদের সঙ্গে বেতন নিয়ে এক নির্দিষ্ট কৌশলে আলোচনা করা উচিত। এই কৌশল মাঝে মাঝে কাজ করে না ঠিকই, তবে, অধিকাংশ সময়ই এতে উপকৃত হবেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁর মত, নয়া চাকরিতে তার বেতনের পরিসীমা কত, তা জানা থাকলে অনেক ভাল বেতনের প্রস্তাব পাওয়া যেতে পারে।

শ্যানেল হাওয়েল বলেছেন, ধরা যাক কোনও ব্যক্তি এমন এক পদের জন্য আবেদন করেছেন, যার বেতনের পরিসীমা বছরে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তাহলে, চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় নিয়োগকারী ব্যক্তিকে চাকরিপ্রার্থীর জিজ্ঞাসা করা উচিত, কী কী দক্ষতা এবং কত দিনের অভিজ্ঞতা তারা চাইছে, যাতে কোনও প্রার্থীকে ৫ লক্ষ টাকার বদলে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে? এই সহজ প্রশ্নটি করলেই, নিয়োগকারীরা তাদের উচ্চ-বেতনপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে কী কী বৈশিষ্ট্য বা দক্ষতা খুঁজছেন, তা বোঝা যাবে। কত বছরের কাজের অভিজ্ঞতা তারা খুঁজছে, কোনও নির্দিষ্ট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা তারা চাইছে কিনা, টিম ম্যানেজমেন্ট বা অন্য কোনও বিশেষ দক্ষতা চাইছে কিনা, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর কাছে। এর ফলে, ইন্টারভিউ দেওয়াটা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।

READ  Tata Market Cap: কোথায় অম্বানী-আদানি? ৩০ লক্ষ কোটির মার্কেট ক্যাপ ছুঁয়ে রেকর্ড টাটার

তিনি জানিয়েছেন, এরপর ওই চাকরিপ্রার্থীর মূল কাজ হবে, ইন্টারভিউয়ের বাকি সময় জুড়ে ওই গুণগুলিরই পুনরাবৃত্তি করা। কেন আপনি ৫ লক্ষের জায়গায় ১০ লক্ষ টাকা পাওয়ার যোগ্য, তা বোঝাতে হবে নিরোগকারীদের। কেন তার আরও বেশি অর্থ প্রাপ্য, তা কথায় বোঝাতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য, কোনও নির্দিষ্ট বদের বেতনের পরিসীমা নাও জানানো হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ের সময়ই চাকরিপ্রার্থীরা ওই পদের বেতনের পরিসীমা সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তা জানানো না হলে, নিয়োগকারীরা কী কী গুণাবলীর সন্ধান করছেন, তাও জিজ্ঞেস করা যেতে পারে। শ্যানেল বলেছেন, “অনেক সংস্থা প্রার্থীদের বেতনের পরিসীমা জানিয়ে দেয়। ভাল বেতন আদায়ের চাবিকাঠি হল, নিয়োগকর্তার উপর সঠিক মূল্যায়নের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। কেন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থী ওই অর্থ পাওয়ার যোগ্য, তা বোঝাতে কাহিনি তৈরি করতে হবে।


Please Share With Your Friends